বব এরামের এখনো ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। ১৯৬৬ সালে এক হেভিওয়েট বক্সারের প্রমোটার হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর। সে বক্সারের নাম মোহাম্মদ আলী। অনেকের চোখেই সর্বকালের সেরা অ্যাথলেটের সঙ্গে সম্পর্কটা বেশ স্থায়িত্ব পেয়েছিল। আলীর ২৭টি ফাইটের প্রচারের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন এরাম ও তাঁর প্রমোটিং প্রতিষ্ঠান টপ র্যাঙ্ক। চার দশকের বেশি পর গতকাল শনিবার আরেক আলীর পেশাদার বক্সিংয়ে অভিষেকের সময়ও প্রমোটার হিসেবে ছিলেন এরাম।
সর্বকালের সেরা বক্সারের সঙ্গে এই আলীর সম্পর্কটা নানা-নাতির। আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর কন্যা রাশেদা আলীর ছেলে নিকো আলী ওয়ালশ কালই প্রথম পেশাদার বক্সিংয়ের বাউটে নেমেছিলেন। কিংবদন্তির নাতি হিসেবে পরিচয় দিতে যে তাঁর কোনো আপত্তি নেই, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন রিংয়ে নেমেই। পরনে ছিল তাঁর কিংবদন্তিরই একটা শর্টস। নানার কাছ থেকে পাওয়া ষাটের দশকের সে শর্টস পরে প্রতিপক্ষ জর্ডান উইকসকে ৭০ সেকেন্ডের মধ্যেই নকআউট করে দিয়েছেন আলী ওয়ালশ।
মিডলওয়েটে লড়া নিকোর কালকের লড়াইটা ছিল চার রাউন্ডের। ওকলাহোমার তুলসার হার্ড রক হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনোতে টপ র্যাঙ্কের আয়োজিত সে লড়াইয়ের প্রথম রাউন্ডের মাঝপথেই উইকসকে নকআউট করে দিয়েছেন। ১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের দিকে লড়াই থামিয়ে দিতে হয়েছে। ২১ বছর বয়সী আলী ওয়ালশের সামনে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন সাবেক মিক্স মার্শাল আর্ট ফাইটার উইকস।
নিজের প্রথম পেশাদার ম্যাচের পর আলী ওয়ালশ জানিয়েছেন এটুকু পথ পাড়ি দিতেও কম কষ্ট হয়নি তাঁর, ‘এটা খুব এক আবেগপ্রবণ যাত্রা ছিল, পুরো যাত্রাটাই। আমি যেমন আশা করেছিলাম, তেমনই ছিল। কোনো সন্দেহ নেই যে পুরো সময়ে নানাকে বারবার মনে পড়ছিল। তাঁর অভাব বোধ করি আমি।’
মিডলওয়েটে লড়া নিকোর কালকের লড়াইটা ছিল চার রাউন্ডের। ওকলাহোমার তুলসার হার্ড রক হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনোতে টপ র্যাঙ্কের আয়োজিত সে লড়াইয়ের প্রথম রাউন্ডের মাঝপথেই উইকসকে নকআউট করে দিয়েছেন। ১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের দিকে লড়াই থামিয়ে দিতে হয়েছে। ২১ বছর বয়সী আলী ওয়ালশের সামনে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন সাবেক মিক্স মার্শাল আর্ট ফাইটার উইকস।
নিজের প্রথম পেশাদার ম্যাচের পর আলী ওয়ালশ জানিয়েছেন এটুকু পথ পাড়ি দিতেও কম কষ্ট হয়নি তাঁর, ‘এটা খুব এক আবেগপ্রবণ যাত্রা ছিল, পুরো যাত্রাটাই। আমি যেমন আশা করেছিলাম, তেমনই ছিল। কোনো সন্দেহ নেই যে পুরো সময়ে নানাকে বারবার মনে পড়ছিল। তাঁর অভাব বোধ করি আমি।’
এসব ক্ষেত্রে যা হয়, ‘লিগ্যাসি’ চাপ হয়ে ওঠে। প্রতি পদক্ষেপে তুলনা চলে। পরিবারের নাম বহন করার যোগ্য কি না, সে আলোচনা যুক্ত হয় প্রতিটি পাঞ্চ আর জ্যাবে। কিন্তু নিকো সেটা প্রথম থেকেই মেনে নিয়েছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, না, আমার সৌভাগ্য হলো আজীবন এ চাপ নিয়ে বড় হয়েছি। বক্সিং হোক, স্কুল হোক বা জীবনের যেখানেই হোক না কেন, আমাকে সব সময় নানার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। সন্দেহ নেই, আমি যখন তাঁর খেলায় অংশ নেব, তখন তুলনা আরও বেশি করে করা হবে। তবে আমি এমন চাপ সব সময় সহ্য করেছি। আমার তো মনে হয়, সব বক্সারেরই চাপ আছে। তাই অন্যরা এটা যেভাবে দেখে, আমি সেভাবে দেখি। উনি আমার নানা, ব্যাপারটা এতটাই সহজ।’



0 Comments